হকিং রেডিয়েশন বলতে কি বােঝায়?
ব্যাকহােলের হাল-হকিকৎ সম্পর্কে নতুন আলােকপাত করেছেন স্টিফেন হকিং। হকিং-এর মতে ব্যাকহােলের শেষ পর্যায়ের ভর রূপান্তরিত হয় বিকিরণে । পদার্থবিদ্যার জগতে এ বিকিরণ বা রেডিয়েশনকে বলে ‘হকিং রেডিয়েশন'। দীর্ঘদিন ধরে বিকিরিত হতে হতে অবশেষে নিঃশেষিত হয়ে যায় ব্যাকহোেল । সম্প্রতি বাস্তব জগতেও ব্যাকহােলের খোঁজ মিলেছে। সিগনাস নক্ষত্রমণ্ডলীর সিগনাস-এক্স-ওয়ান এবং উপবৃত্তাকার গ্যালাক্সি মেসিয়ার ৮৭-তে সবচেয়ে জোরালাে প্রমাণ পাওয়া গেছে ব্যাকহােলের। অবশ্য ব্যাকহােলের রহস্য আজও পুরােপুরি উন্মােচিত নয়। আশা করা যায় নিরন্তর গবেষণাই ব্যকহােলের রহস্যময়তা ঘুচিয়ে দিতে পারে।
পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ ০.৫-০.৯%, স্থলে ঐ অক্সিজেনের পরিমাণ ২০%। অথচ বেশিরভাগ মাছই স্থলভাগে মরে যায়কেন?
কারণ হলাে মাছের প্রধান শ্বাসযন্ত্র ‘গিল'। এটা এমনভাবে তৈরি যার দ্বারা মাছ শুধু জলীয় অক্সিজেনই শশাষণ করতে পারে। কিন্তু গিল ঐ একই কাজ স্থলভাগে করতে পারে না। তাই তারা স্থলভাগে অক্সিজেনের অভাবেই মরে যায়। অবশ্য অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্রওয়ালা কতকগুলাে মাছ আছে যারা স্থলভাগে বেঁচে থাকতে পারে।
পুরানো মহার্ঘ্য জিনিসপত্রের বয়স কি ভাবে মাপা হয়?
বহু পুরনাে পেন্টিং, জামাকাপড়, মানুষের দেহাবশেষ, বইপত্র ইত্যাদি কতটা পুরনাে বা তাদের বয়স বের করা যায় যে পদ্ধতির সাহায্যে তাকে বলে রেডিও ডেটিং টেকনিক'। এই পদ্ধতিতে মূলত ব্যবহৃত হয় কার্বন-১৪। এটা হলাে সাধারণ কার্বনের তেজস্ক্রিয় রূপ। বিজ্ঞানীরা ঐ কার্বন-১৪ এবং কার্বন-১২ (যা তেজস্ক্রিয় নয়, কার্বনের একটা সাধারণ রূপ মাত্র) এর অনুপাত পরীক্ষা করে পুরনাে জিনিসের বয়স নির্ধারণ করেন। এই পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে ৬০,০০০ বছর আগেকার জিনিসের বয়সও বের করা যায়। বর্তমানে শুধু কার্বন নয়, পটাসিয়াম, রুবিডিয়াম, সামারিয়াম এবং ইউরেনিয়াম-এর তেজস্ক্রিয় রূপ ব্যবহৃত হয়। অয়েল পেন্টিং বা তৈলচিত্রের বয়স নির্ধারণ করতে এক্সরে স্পেকট্রোস্কোপির সাহায্য নেওয়া হয়।